
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর করার এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এচলতি সপ্তাহে সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে অবস্থানকালে ড. অ্যালি ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারত্ব পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০’ চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য ক্যানবেরার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।
নতুন অংশীদারত্ব কাঠামো টেকসই প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীলতার মতো ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে উত্তরণকে স্বাগত জানায় এবং এই প্রচেষ্টাগুলোকে সমর্থন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
ড. অ্যালি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন, যেখানে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
এ পরিস্থিতিকে ‘এ অঞ্চলের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জটিল মানবিক সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত মানবিক সহায়তার ওপর জোর দেন।
অস্ট্রেলিয়া আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক সহায়তায় অতিরিক্ত ৩৭০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মোট প্রতিশ্রুতি ১.২৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ছাড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীর সফর এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি উন্নীত করার জন্য ভারত মহাসাগরের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
ড. অ্যালির ঢাকা সফর বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন অংশীদারত্ব, মানবিক সহযোগিতা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়। কারণ, বাংলাদেশ টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পাঠকের মতামত